আউটসোর্সিং-নীতিমালা-২০২৫: বাংলাদেশের আইটি খাতে নতুন দিগন্ত

বাংলাদেশে ডিজিটাল রূপান্তরের ধারা গত কয়েক বছরে অনেক গতিশীল হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতা করার জন্য প্রয়োজন ছিল সময়োপযোগী একটি কাঠামো। সেই লক্ষ্যেই সরকার চালু করেছে আউটসোর্সিং-নীতিমালা-২০২৫—যা দেশের তরুণ ফ্রিল্যান্সার, আইটি উদ্যোক্তা ও টেক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে।


???? এই নীতিমালার মূল উদ্দেশ্য কী?

আউটসোর্সিং-নীতিমালা-২০২৫ এর মূল উদ্দেশ্য হলো—

  • আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী আউটসোর্সিং সেবা নিশ্চিত করা

  • ফ্রিল্যান্সারদের সুরক্ষা, দক্ষতা বৃদ্ধি ও আয়ের নিশ্চয়তা

  • বৈধ পেমেন্ট গেটওয়ে ও ব্যাংকিং সেবা সহজীকরণ

  • কর ও প্রণোদনা কাঠামো সহজ করে ফ্রিল্যান্সারদের প্রফেশনাল স্বীকৃতি প্রদান


????‍???? কারা উপকৃত হবে?

এই নীতিমালার সবচেয়ে বড় সুবিধা পাবেন—

  • নতুন ও অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার

  • আইটি কোম্পানি যারা বিদেশি ক্লায়েন্টদের জন্য কাজ করে

  • ডিজিটাল মার্কেটার, ওয়েব ডেভেলপার, কনটেন্ট ক্রিয়েটরসহ অনলাইনভিত্তিক পেশাজীবীরা

সরকার চায় যেন বাংলাদেশ আউটসোর্সিংয়ে ভারতের পরে পরবর্তী বড় শক্তি হিসেবে গড়ে ওঠে। তাই এ নীতিমালায় দক্ষতা উন্নয়ন, পেমেন্ট সিস্টেম, আইনি সহায়তা ও প্রশিক্ষণ সবকিছু অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।


???? ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

এই নীতিমালার বাস্তবায়ন হলে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বছরে বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব হবে শুধু আউটসোর্সিং খাত থেকে। এ ছাড়াও দেশের লক্ষ লক্ষ তরুণ ঘরে বসে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।


✍️ উপসংহার

আউটসোর্সিং-নীতিমালা-২০২৫ শুধু একটি কাগজে কলমে পরিকল্পনা নয়, এটি আমাদের ডিজিটাল ভবিষ্যতের রূপরেখা। এটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ আইটি আউটসোর্সিং বিশ্বে একটি শক্ত অবস্থানে পৌঁছাবে।

1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15

Comments on “আউটসোর্সিং-নীতিমালা-২০২৫: বাংলাদেশের আইটি খাতে নতুন দিগন্ত”

Leave a Reply

Gravatar